• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯

নির্বাচন

আ.লীগ নেতাদের জয়জয়কার

  • ''
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি:

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়জয়কার দেখা গেছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। গত বুধবার দেশের ১৩৯টি উপজেলার অনুষ্ঠিত ভোটে ভোটার সংখ্যা ছিল খুবই কম। চার ধাপে ভোট হবে এবার। প্রথম ধাপের পর আগামী ২১ মে, ২৯ মে ও ৫ জুন তিনটি ধাপে ভোট রয়েছে। বাকি ধাপগুলোর গড় ভোটার উপস্থিতির উপরই সার্বিক ভোটের হার নির্ভর করায় পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে আরও এক মাস অপেক্ষা করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের জানান, প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। যা ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৮ শতাংশ। সে হিসাবে গত ১৫ বছরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটের হার কমেছে ৩২ শতাংশ। বিএনপির বর্জনে ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনেও ভোট পড়েছিল ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে তাদের অংশগ্রহণে ২০১৪ সালের নির্বাচনে উপস্থিতি ছিল ৬১ শতাংশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে না বলে দিন-দিন ভোটার কমে যাচ্ছে।

এদিকে ১৩৯টি উপজেলার অনুষ্ঠিত ভোটে শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অন্তত সাতজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে জানা গেছে, ১৩৯টি উপজেলার অনুষ্ঠিত ভোটে মধ্যে ১২২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০১ জনই আওয়ামী লীগের।

ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের (ফেমা) প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে না উপজেলা নির্বাচন, সে কারণেই ভোটার কমছে। অনেক ভোটর মনে করেন ভোট দিতে গিয়ে লাভ কি, আমি যে পার্টির প্রার্থীকে পছন্দ করি সেতো হচ্ছেই। আবার অনেক ভোটর মনে করেন, তার ভোট দিয়ে কোনো লাভ নেই। কারণ তার দলের প্রার্থী ভোটার হননি। এ সব কারণেই ভোটার কমে যাচ্ছে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ভেঙে পড়েছে। এরমধ্যে বিএনপিসহ বিরোধী কোনো দল ভোটে না আসায় কমছে ভোটারদের আগ্রহ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে না বলে ভোট ব্যবস্থার ওপরও কমছে মানুষের আস্থা। এ অবস্থায় ভোটারকে ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার পরামর্শও দেন তিনি।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম মনে করেন, সব দলের অংশগ্রহণে ভোট না হওয়ায় ভোটাররা কেন্দ্রে আসার উৎসাহ হারাচ্ছে। তাছাড়া মানুষের মধ্যে এখন ভোট দেওয়ার আগ্রহ অনেক কমে গেছে। এটার পেছনে একটি কারণ নয়, অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তবে বড় একটি কারণ হচ্ছে, সব দলের অংশগ্রহণে ভোট হলে এক ধরনের পরিবেশ থাকে, ভোটারদের উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে। যেহেতু সব দলের অংশগ্রহণে ভোটগুলো হচ্ছে না, তাই ভোটার কম আসছে।

নির্বাচক বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বলেন, একটি নির্বাচন যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হয়, যদি সব দলের অংশগ্রহণ না থাকে, তখন ভোটাররা সেই ভোটে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কারণ সেই ভোটের ফলটা তারা আগে থেকেই অনুমান করে ফেলে। একটি উপজেলায় যদি চার-পাঁচজন প্রার্থী থাকে, আবার একই দলের হয়, তাহলে ভোটাররা মনে করবে, যেই জিতুক, একই দলের লোক জিতবে। তাহলে সে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কী করবে?

ভোটার উপস্থিতি প্রতিবারই কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটাও আরেকটি সংকেত যে, আমরা নির্বাচনকে আমরা উৎসাহের জায়গায় নিয়ে যেতে পারছি না। একটা নির্বাচনে যখন ভোটে ভোটারের উপস্থিতি কম হয়, তখন গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ-জানিপপ চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর মতে, নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের অবসাদ রয়েছে। এটি জাতীয়ভাবে। এতে অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন অযথা ঝামেলায় জড়াতে চায় না। প্রার্থী হওয়াটাও কঠিন কাজ। প্রার্থী হতে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। এগুলো কারণে অনেকেই প্রার্থী হচ্ছেন না; প্রার্থী কম হওয়ায় ভোটাররাও কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে।

১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে এক দিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। সবশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা ভোটে গড়ে ৪১% এর বেশি ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১% এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭.৬৯% ভোট পড়ে। দেশের মোট ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার।

এদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএমে ভোট পড়েছে ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। ভোট কাস্টিংয়ের হার কম হওয়ার কারণ, হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি, ধানকাটা ও একটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না আসায় ভোট পড়ার হার কম হয়েছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সারাদেশে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে ভোটার প্রায় ৩ কোটি ১৪ লাখ। ভোটকেন্দ্র ছিল প্রায় ১২ হাজার। ভোটকক্ষ প্রায় ৭৮ হাজার। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত ছিল।

উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে যারা তার হলেন:

ঢাকা বিভাগে:

ঢাকার দোহারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, কেরানীগঞ্জে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, নবাবগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ বন্দরে জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মাকসুদ হোসেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল হক, ভেদরগঞ্জে সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য ওয়াসেল কবির গুলফাম, নরসিংদীর সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন, পলাশে থানা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জাবেদ হোসেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ, ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্লা, মধুখালীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান এবং সদরে কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম চৌধুরী, মাদারীপুর সদরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আসিবুর রহমান খান, রাজৈরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজি মহসিন মিয়া, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থক মো. সোহেল, পাকুন্দিয়ায় বিএনপি সমর্থক এমদাদুল হক ঝোটন, সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইয়েদুল ইসলাম, সিঙ্গাইরে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান, রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থক আলীউজ্জামান চৌধুরী টিটু, পাংশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বুড়ো, গাজীপুর সদরে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ইজাদুর রহমান মিলন, কাপাসিয়ায় আওয়ামী লীগের আমানত হোসেন খান, কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের আমজাদ হোসেন স্বপন, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ, মধুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি ইয়াকুব আলী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, সদরে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বিএম লিয়াকত আলী, কোটালীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিমল বিষ্ণু বিশ্বাস বিজয়ী হয়েছেন।

বরিশাল বিভাগ:

বরিশাল সদরে স্বতন্ত্র আব্দুল মালেক ও বাকেরগঞ্জে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য রাজীব তালুকদার, পিরোজপুর সদরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বায়েজীদ হোসেন, নাজিরপুরে আওয়ামী লীগের নূরে আলম সিদ্দিকী ও ইন্দুরকানীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী বিজয়ী হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগ:

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, সীতাকুণ্ডে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুল আলম চৌধুরী, সন্দ্বীপে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার জেলার সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য নুরুল আফসার, মহেশখালীতে স্বতন্ত্র জয়নাল আবেদীন, কুতুবদিয়ায় স্বতন্ত্র ব্যারিস্টার হানিফ বিন কাশেম, খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, রামগড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম ভূঁইয়া, বান্দরবান সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, আলী কদমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটির বরকলে জেএসএস সমর্থিত বিধান চাকমা, সদরে জেএসএস সমর্থিত প্রার্থী অন্নসাধন চাকমা, কাউখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুদ্দোহা চৌধুরী, জুরাছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বিজয়ী হয়েছেন।

কুমিল্লায় ১১টিতেই জিতেছে আওয়ামী লীগ:

কুমিল্লা জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১১টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে ইসলামী আন্দোলন, আরেকটিতে বিএনপি প্রার্থী এগিয়ে আছেন। তবে এরই মধ্যে আটটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। লাকসামে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউনুছ ভুঁইয়া, মনোহরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরী, মেঘনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ, চাঁদপুর মতলব উত্তরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মানিক, মতলব দক্ষিণে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, ফেনীর পরশুরামে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফিরোজ মজুমদার, ফুলগাজীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার, নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক আলী বিজয়ী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আওয়ামী লীগ নেতা শের আলম, নাসিরনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক রুমা আক্তার, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, রামগতিতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বিজয়ী হয়েছেন।

সিলেট বিভাগ:

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও শাল্লায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অবনী মোহন দাস, সিলেট সদরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফি, দক্ষিণ সুরমায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম ও গোলাপগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনজুর কাদির শাফী বিজয়ী হয়েছেন।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আওয়ামী লীগের আজীর উদ্দিন, জুড়ীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কিশোর রায় চৌধুরী, কুলাউড়ায় আল ইসলামীর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা ফজলুল হক খান, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও বানিয়াচংয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান বিজয়ী হয়েছেন।

রংপুর বিভাগ:

রংপুরের কাউনিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, পীরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন মিলন, পঞ্চগড় সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত শাহনেওয়াজ প্রধান, তেঁতুলিয়া উপজেলায় স্বতন্ত্র নিজাম উদ্দীন খান, আটোয়ারী উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা আনিসুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম ও হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ুম পুষ্প বিজয়ী হয়েছেন।

দিনাজপুরের হাকিমপুরে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন রাজ, ঘোড়াঘাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের শুভ রহমান চৌধুরী, বিরামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ কবির, গাইবান্ধার ফুলছড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, সাঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা সামশীল আরেফিন টিটু, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবুল, হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জয় পেয়েছেন।

এ ছাড়া নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারহানা আক্তার সুমি, ডিমলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জাতীয় পার্টির নেতা রোকুনুজ্জামান শাহীন, রৌমারীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শালু ও চররাজীবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম জয়ী হয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগ:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ক্ষেতলাল পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার, কালাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন, আক্কেলপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোকসেদ আলী মণ্ডল, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সজল, সোনাতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন, গাবতলীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য অরুণ কান্তি রায়, নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজাহার আলী, পত্নীতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাফফার চৌধুরী, বদলগাছীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক শামসুল আলম খান, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সোহেল, তানোরে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, সিরাজগঞ্জ সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন, কাজীপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী, বেলকুচিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম সরকার, পাবনার সাঁথিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল রানা খোকন, সুজানগরে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব, বেড়ায় আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবু উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে সমকালের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, গোমস্তাপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন রেজা, ভোলাহাটে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম এগিয়ে আছেন।

নাটোরের সিংড়ায় আওয়ামী লীগের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা বিজয়ী হয়েছেন। নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলায় ভোট গণনার কাজ চলছিল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত।

খুলনার সবকটিতে আওয়ামী লীগ জয়ী:

মেহেরপুর সদরে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম, মুজিবনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, কুষ্টিয়া সদরে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, খোকসায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাসুম মুর্শেদ শান্ত, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, দামুড়হুদায় দর্শনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মুনসুর বাবু, ঝিনাইদহ সদরে আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মাসুম, কালীগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবলী নোমানি, যশোরের মনিরামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলু, কেশবপুরে আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুর রহমান, মাগুরা সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমির ওসমান, শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ কর্মী শরীয়ত উল্লাহ হোসেন মিয়া, নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান শামীমুর রহমান ওছি, বাগেরহাট সদরে জেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, রামপালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, কচুয়ায় রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সুমন এবং শ্যামনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ উজ জামান বিজয়ী হয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগ:

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিএনপির আব্দুল হামিদ, ধোবাউড়ায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা তিসিম ও ফুলপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবীবুর রহমান, জামালপুর সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপির আমিনুল ইসলাম বাদশা, শ্রীবরদীতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, নেত্রকোনার কলমাকান্দায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস ও দুর্গাপুরে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নীরা বিজয়ী হয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads